স্বদেশ ডেস্ক:
বাজারে ত্বক ফর্সাকারী ক্রিমে উচ্চ মাত্রায় পারদ মেশানো হয়। পাশাপাশি পারদযুক্ত ক্রিম ব্যবহারকারীদের সংখ্যাও বহুগুণ বেশি এবং দিন দিন তা বাড়ছে। বৃহস্পতিবার পরিবেশ অধিদপ্তর এবং এনভায়রনমেন্ট এন্ড সোশ্যাল ডেভেলাপমেন্ট অর্গানাইজেশন-এসডো কর্তৃক যৌথভাবে আয়োজিত স্বাস্থ্য ও পরিবেশের ওপর পণ্যের ক্ষতিকর প্রভাব শীর্ষক এক সচেতনতামূলক কর্মশালায় এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।
জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে অনুষ্ঠিত এই কর্মশালায় সাবেক সচিব ও এসডো’র চেয়ারপার্সন সৈয়দ মার্গুব মোরশেদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এতে দু’টি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো: আবুল হাসেম এবং এসডো’র প্রোগ্রাম এসোসিয়েট যুথী রাণী মিত্র।
এসডো’র মহাসচিব ড. শাহরিয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় আরো বক্তব্য রাখেন- পরিবেশ অধিদপ্তরের এমআইএ প্রকল্পের পরিচালক ড. মাসুদ ইকবাল মো: শামীম, পুলিশের সাবেক আইজিপি মোকলেসুর রহমান এবং বুয়েটের অধ্যাপক ড. রওশান মমতাজ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন ও এসডো’র নির্বাহী পরিচালক সিদ্দিকা সুলতানা প্রমুখ।
কর্মশালায় বক্তারা বলেন, বাজারে পারদযুক্ত ত্বক ফর্সাকারী ক্রিমে ভরে গেছে, যা জনস্বাস্থ্য এবং পরিবেশকে সম্ভাব্য ঝুঁকির দিকে নিয়ে যাচ্ছে। দেশের বাজারে সহজেই যেসব ত্বক ফর্সাকারী পণ্য পাওয়া যাচ্ছে সেগুলোর বেশিরভাগই অতিমাত্রায় পারদযুক্ত যা এক পিপিএমের চেয়ে অনেক বেশি। বক্তারা আরো বলেন, ২০১৮ এবং ২০১৯ সালের এসডোর বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশের বাজারে পাওয়া ত্বক ফর্সাকারী ক্রিমগুলোর বেশিরভাগের মধ্যে পারদ অবিশ্বাস্য মাত্রায় আছে ( প্রায় ৭১১ থেকে ১৬ হাজার ৩৫৩ পিপিএম) যা প্রস্তাবিত সর্বাধিক মাত্রা এক পিপিএমের চেয়ে বেশি।
পাশাপাশি বক্তারা বলেন, ত্বক ফর্সাকারী পণ্যে মেশানো পারদ মানুষের স্বাস্থ্য ও পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি করে। সাম্প্রতিককালে ওয়ার্ল্ড হেল্থ অর্গানাইজেশন মানব স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকারক দশটি উপাদানের মধ্যে মার্কারিকে চিহ্নিত করেছে। দাঁতের চিকিৎসায় সিল্ভার অ্যামালগাম ব্যবহারের পর প্রথম চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই মার্কারি নির্গত হয় যা গর্ভবতী ও শিশুদের কিডনি ও ব্রেইনের মারাত্মক ক্ষতি করে। উপরন্তু ডেন্টাল অ্যামালগাম থেকে নির্গত মার্কারি পরিবেশ দূষণের অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।